প্রচন্ড গরমের কারণে স্কুলের সময় এগিয়ে আনার জন্য শিক্ষা দপ্তরের কাছে আবেদন শিক্ষা পর্ষদের। ২০২৫ সালে ৩০ শে এপ্রিল থেকেই শুরু হতে চলেছে গরমের ছুটি! প্রচন্ড গরমের তাপে ইতিমধ্যেই নাজেহাল পশ্চিমবঙ্গের নয়টি জেলা। তার মধ্যে রয়েছে বাঁকুড়া পুরুলিয়া থেকে শুরু করে হাওড়া হুগলির মতো জেলাগুলি। তাহলে কি এগিয়ে আসবে স্কুলের সময়? কি জানাচ্ছে শিক্ষা দপ্তর?
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বেশিরভাগ বিদ্যালয় গুলিতেই ডে-সেশনে ক্লাস হয়। কিন্তু এপ্রিল মাসের মধ্যেই এই প্রচন্ড তাপপ্রবাহে নাজেহাল হয়ে উঠছে শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে ছাত্রছাত্রীরা। যেখানে প্রচন্ড তাপপ্রবাহের সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের বাইরে বেরোনো অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে, সেখানে বিদ্যালয়ের ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এটি প্রচন্ড কষ্টকর। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে এবারে বিদ্যালয়ের সময়সীমা এগিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
বাংলার বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, ও দক্ষিণ ২৪পরগনার মত জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রচন্ড তাপপ্রবাহ। যার ফলে ডে-সেশনে ক্লাস করানো যথেষ্ট কষ্টকর হয়ে উঠেছে। এই কারণে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সময়সীমা কে এগিয়ে মর্নিং সেশন করার জন্য উদ্যত হয়েছে। এই উদ্দেশ্যেই সম্প্রতি পর্ষদের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আবেদন জানানো হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে।
আরও পড়ুনঃ ২৬ হাজার চাকরি বাতিল: কারা এখনও বেতন পাবে? নতুন পরীক্ষায় কারা বসবে?
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে বেশ কিছুদিন আগেই বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের মত দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কয়েকদিনের মধ্যেই বেশিরভাগ শিক্ষক-শিক্ষিকার মতামত যুক্ত একটি রিপোর্ট তৈরি হয় পর্ষদের কাছে। এরপর গত বৃহস্পতিবারে পর্ষদের পক্ষ থেকে সরাসরি শিক্ষা দপ্তরের কাছে এই বিষয়ে আবেদন পাঠানো হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রধান গৌতম পাল জানিয়েছেন, ‘‘অতিরিক্ত গরমের কারণে বেশ কিছু জেলা বেলায় নয় সকালে ক্লাস করাতে চাইছে। আমরা সরকারের কাছে জানতে চেয়েছি কী করা উচিত। সরকার জানালে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’’
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক রেজাল্ট কবে প্রকাশিত হবে? তাড়াতাড়ি দেখে নিন বিস্তারিত আপডেট
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছরের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচন্ড তাপপ্রবাহের কারণে বিদ্যালয়ের গরমের ছুটি এগিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও এই বছরে এখনো পর্যন্ত এমন কোন সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি সরকারি সূত্র থেকে। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বার্ষিক ছুটির তালিকা থেকে মোট ১০ দিনের গ্রীষ্মকালীন অবকাশের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। তবে পরবর্তীকালে পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে অবশ্যই এই সময়সীমা বৃদ্ধি পেতে পারে।