প্রধান শিক্ষক পদের জন্য যারা আগ্রহী তাদের জন্য সুখবর। একাধিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে খুব শীঘ্রই। হ্যাঁ রাজ্যের ৫০ শতাংশরও বেশি স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই, প্রায় ছয় বছর আগে এই পদের জন্য নিয়োগ হয়েছিল। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। কিন্তু কবে নাগাদ এই বিপুল সংখ্যক শূন্য পদে নিয়োগ হবে?
গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাজ্যের শীতকালীন বিধানসভার অধিবেশনে সরকারের তরফ থেকে সংশোধিত বিল পেশ করা হয়নি। বর্তমানে একাধিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক না থাকায় স্কুলগুলিকে টিচার ইনচার্জরাই চালনা করছেন। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্কুলগুলিকে পরিকাঠামগত উন্নয়ন থেকে শুরু করে প্রশাসনিক নানা কাজে পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে, একাধিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে প্রধান শিক্ষক না থাকা এই স্কুলগুলি।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক পাশে স্কলারশিপে আবেদন চলছে
২০১৯ সালে যখন প্রধান শিক্ষক পদে শেষবার নিয়োগ হয়েছিল তখনই প্রধান শিক্ষক পদের শূন্য আসন সংখ্যা ছিল প্রায় আড়াই হাজার। দীর্ঘদিন এই পদে নিয়োগ বন্ধ থাকার ফলে সেই সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে। স্কুলশিক্ষা দফতর থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাজ্যের সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুল মিলিয়ে প্রধান শিক্ষকের যে শূন্য পদ রয়েছে তা ৫০০০এরও বেশি। শিক্ষা দফতরের এক উচ্চপদস্থের আধিকারিকের কথা অনুযায়ী, “সেপ্টেম্বর মাসে আমরা অনুমোদনের জন্য যখন খোঁজ খবর নিই, শূন্য আসনের সংখ্যা ছিল ৫৬০০ মতো। এই ক’দিনে আরও বেশ কয়েক জন অবসর নিয়েছেন। সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
আরও পড়ুনঃ শুরু হল ইউজিসি নেটের আবেদন প্রক্রিয়া
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , স্কুল সার্ভিস কমিশন প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য বেশ কিছু নিয়ম নীতির পরিবর্তন করে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে পাঠিয়েছিল গত বছরে। সেই অনুযায়ী যদি পরীক্ষা হয় তাহলে প্রধান শিক্ষক পদের জন্য নিয়োগের এই পরীক্ষা হবে ওএমআর শিটে ও প্রত্যেক প্রার্থীকে ওএমআর শিটের ‘ডুপ্লিকেট কপি’ প্রদান করা হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশন প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণের বিষয়টি মাথায় রাখার জন্যও আবেদন করেছিল। তবে কবে নাগাদ এই পরীক্ষা হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ বিকাশ ভবন থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানশিক্ষক নিয়োগের ফাইল পুনরায় সংশোধন করে ক্যাবিনেটের অনুমতির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে এটি রাজ্যপালের কাছে যাবে এবং তারপর বিধানসভায় পেশ করা হবে।
অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে যে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের এই বিষয়টি এখনও মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় থমকে রয়েছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করবে শিক্ষা দফতর। তবে ৫০০০ এর বেশি এই প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগ হলে প্রচুর চাকরিপ্রার্থী চাকরি পাবেন বলেই আশা করা যাচ্ছে।