এক নজরে
Kotak Kanya Scholarship: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জুড়ে বিপুল সংখ্যক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন। রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফলাফল দেখলেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়। এই সকল ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখে থাকেন। কিন্তু পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় সেই ইচ্ছে ত্যাগ করতে হয় তাঁদের। এই কারণেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসহ সমগ্র দেশ জুড়ে একাধিক স্কলারশিপ প্রকল্পের মাধ্যমে এই সকল মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার খরচ বহন করা হয়। এই স্কলারশিপ স্কিম গুলিতে আবেদন করলে প্রতিমাসে অথবা বাৎসরিক একটি আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায়। আজকের এই প্রতিবেদনে তেমনই একটি বেসরকারি স্কলারশিপ ‘কোটাক কন্যা স্কলারশিপ’-এর বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
Kotak Kanya Scholarship
মেধাবী ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্যে চালিত একাধিক বেসরকারি স্কলারশিপের মধ্যে অন্যতম হল কোটাক কন্যা স্কলারশিপ। কোটাক মাহিন্দ্রা গ্রুপ ও কোটাক এডুকেশনের যৌথ উদ্যোগে এই স্কলারশিপ চালু রয়েছে।আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের মেধাবী কন্যাদের উচ্চশিক্ষা এবং ভবিষ্যতের স্বপ্ন সফল করার উদ্দেশ্যে এই স্কলারশিপটি চালু করা হয়েছে। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রীরা এই স্কলারশিপের মাধ্যমে নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন।
Kotak Kanya Scholarship এ বৃত্তির পরিমাণ
কোটাক কন্যা স্কলারশিপে আবেদনকারী ছাত্রীকে প্রতি বছর ১.৫ লক্ষ টাকার স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। কোর্স সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই অর্থ প্রদান করা হয়ে থাকে। মূলত এই স্কলারশিপ এর মাধ্যমে ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হওয়া কোর্সের উপর নির্ভর করেই স্কলারশিপের টাকা দেওয়া হয়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ছাত্রীরা যদি পেশাগত কোন কোর্সে ভর্তি হন, সেই কোর্সের সমস্ত খরচ এই স্কলারশিপের মাধ্যমে বহন করতে পারবেন ওই ছাত্রী।
আরও পড়ুনঃ Biswabina Scholarship 2025- Apply Now
আবেদন যোগ্যতা (Kotak Kanya Scholarship)
➲ Kotak Kanya Scholarship এ আবেদন জানাতে হলে আবেদনকারী পড়ুয়াকে পরিবারের কন্যা সন্তান হতে হবে।
➲ আবেদনকারী পড়ুয়াকে ৮৫ শতাংশ নম্বর-সহ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে থাকতে হবে।
➲ উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর পড়ুয়াকে যে কোনো প্রফেশনাল কোর্স (যেমন, ইঞ্জিনিয়ারিং, এলএলবি, এমবিবিএস ইত্যাদিতে) ভর্তি হতে হবে।
➲ আবেদনকারী পড়ুয়ার পারিবারিক বার্ষিক আয় হতে হবে ৬ লক্ষ টাকা।
➲ আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারতবর্ষের যেকোনো রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি
এই স্কলারশিপে (Kotak Kanya Scholarship) আবেদন জানাতে হলে প্রথমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন মাধ্যমে আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে। এরপর সেখানেই আবেদনপত্র পূরণ করে ডকুমেন্ট আপলোড করে অ্যাপ্লিকেশনটি জমা করতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
আবেদনকারীর আধার কার্ড,
শিক্ষাগত যোগ্যতার রেজাল্ট এবং সার্টিফিকেট,
পরবর্তী কোর্সে ভর্তি হবার বিভিন্ন প্রমাণ এবং রশিদ,
পারিবারিক আয়ের প্রমাণপত্র,
ব্যাংক একাউন্ট ডিটেলস,
পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ কবে থেকে খুলবে কলেজে ভর্তির অ্যাডমিশন পোর্টাল?
স্কলারশিপের টাকা কীভাবে দেওয়া হয়?
এই স্কলারশিপে আবেদনকারী ছাত্রীদের মেরিট ও আর্থিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে একটি মেরিট লিস্ট তৈরি করা হয়। এরপর এই মেধা তালিকা অনুযায়ী ছাত্রীদের দুই রাউন্ডের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। তারপর একটি ফাইনাল লিস্ট তৈরি করা হয়। এই লিস্ট ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা হয়। যে সমস্ত আবেদনকারী ছাত্রীরা যোগ্য বলে বিবেচিত হন, তাঁদের কাছে স্কলারশিপের টাকা পৌছে দেওয়া হয় সংস্থার তরফে। এই টাকা সরাসরি আবেদনকারী যোগ্য পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে যায়।
স্কলারশিপ সম্পর্কিত আরও আপডেট পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল জয়েন করুন 👇👇