রাজ্যে অক্টোবরের শুরু থেকেই চলছে পুজোর ছুটি। এই একটানা ছুটি কাটিয়ে স্কুল খুলবে একেবারে দীপাবলি, ভাইফোঁটার পর। আর স্কুল খুললেই পরীক্ষা শুরু বিভিন্ন বর্ষের ছাত্র ছাত্রীদের। ছুটির কারণে কার্যত পঠন-পাঠন বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় অনলাইন ক্লাস সহ প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করতেও দেখা যাচ্ছে কোনোও কোনোও বিদ্যালয়ে। তবে অফলাইন ক্লাস কার্যত বন্ধ রাজ্যের অধিকাংশ বিদ্যালয়ে। তবে ব্যতিক্রমী চিত্র ধরা পড়লো উত্তর চব্বিশ পরগনার গোপালনগরের চৌবেড়িয়া দীনবন্ধু বিদ্যালয়ে। খাতায়-কলমে ছুটি থাকলেও সেখানে উপস্থিত হচ্ছেন শিক্ষক-পড়ুয়ারা, চলছে পঠন-পাঠন। বিদ্যালয়ের এরূপ সিদ্ধান্তে খুশি অভিভাবকরা। কিন্তু পুজোর ছুটি উপভোগ না করে কেন চলছে বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন? প্রশ্নের উত্তর মিললো বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।
উত্তর চব্বিশ পরগনার চৌবেড়িয়া দীনবন্ধু বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণী পর্যন্ত কেবল ছাত্রদের পড়াশোনার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু একদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী কো-এডুকেশনের অন্তর্গত। এবছরের আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে ৪৮ জন পড়ুয়া, এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে ১২১ জন পড়ুয়া। পুজোর ছুটির আগে যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, সেখানে অধিকাংশ পড়ুয়ার ফল বেশ খারাপ হওয়ায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতিতে উপযুক্ত গাইড সহ সিলেবাস যাতে সঠিকভাবে কমপ্লিট হয়, এবং পড়ুয়াদের পরবর্তী বড়ো পরীক্ষার ফল যাতে ভালো হয় সেই উদ্যোগেই পুজোর ছুটির মধ্যেও চলছে ক্লাস। সেইমতো লক্ষ্মী পুজোর পরদিন থেকেই বিদ্যালয়ে আসছে পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুনঃ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার নতুন সিলেবাস
বিদ্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য সোম ও শনিবার, এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য সোম ও শুক্রবার ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। দেড় ঘন্টা করে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে এবং দিন অনুযায়ী দুটি করে বিষয় পড়ানো হচ্ছে। সেইমতো পড়ুয়াদের পাশাপাশি নিয়মিত আসছেন প্রধান শিক্ষক সহ ১২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। চৌবেড়িয়া দীনবন্ধু বিদ্যালয়ের এরূপ সিদ্ধান্তে নিঃসন্দেহে খুশি অভিভাবক থেকে পড়ুয়ারা। শিক্ষকদের দাবি, বিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রীদের গৃহশিক্ষক না থাকায় তারা সম্পূর্ণ ভাবে বিদ্যালয়ের উপরই নির্ভরশীল। ফলে বিদ্যালয়ের তরফ থেকে তাঁদের যেটুকু সাহায্য করা যায় তারই প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। যার অন্যতম উদ্দেশ্য আসন্ন বড়ো পরীক্ষার জন্য পড়ুয়াদের প্রস্তুত করে তোলা।