এক নজরে
Primary Education Syllabus: ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার সিলেবাসে এবার সংযুক্ত হতে চলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এর বিভাগ। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে গত শনিবার জানানো হয়েছে যে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এর কারণে আগামী পাঁচ বছরে দেশে অন্ততপক্ষে ৪০ লক্ষ কর্মসংস্থান হতে চলেছে। সেই উদ্দেশ্যেই দেশের আগামী প্রজন্মকে ছোট থেকেই গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে নয়া উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে আগামী শিক্ষা বর্ষ থেকেই তৃতীয় শ্রেণি (Primary Education Syllabus) থেকে শুরু হয়ে যাবে এ আই এর পঠন পাঠন। ছাত্রছাত্রীরা এগিয়ে যাবে তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার দিকে।
বিদ্যালয়ে পড়ানো হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Primary Education Syllabus)
সম্প্রতি নীতি আয়োগ এর সিইও বিভিআর সুহ্মমণ্যম ‘এআই অর্থনীতিতে কর্মসংস্থান তৈরির রূপরেখা’ নামের এক দলিল প্রকাশ্যে এনেছেন। যেখানে এআই এর ভবিষ্যৎ, কাজের পদ্ধতি, কর্মসংস্থানের বিষয়ে নানান সম্ভাব্য অবস্থার উল্লেখ করা হয়েছে। তাই ভবিষ্যতের এ আই নির্ভর সমাজের জন্য বর্তমান যুবক যুবতীদের তৈরি করে নেওয়ার জন্য অ্যাকশন প্ল্যান নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই উদ্দেশ্যেই জাতীয় এয়াই ট্যালেন্ট মিশন চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
চাকরির খবরঃ ভারতীয় কোস্ট গার্ডে মাধ্যমিক পাশে কর্মী নিয়োগ হচ্ছে
কেন্দ্র শিক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই উদ্দেশ্যেই এবারে একেবারে বুনিয়াদি স্তর থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের এ আই এর বিষয়ে স্বাবলম্বী করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে (Primary Education Syllabus)। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই তৃতীয় শ্রেণী থেকে শুরু হবে এআইয়ের পঠন পাঠন। এই উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আগামীদিনে মানবসভ্যতার সব থেকে বড় সম্পদ হতে চলেছে এআই। স্বাভাবিক নিয়মেই আমরা এই দিকে কিছুতেই পিছিয়ে পড়তে চাই না। পড়ুয়াদের মধ্যে যাতে এআই নিয়ে প্রাথমিক ধারণা তৈরি হয়ে যায়, সেই কারণেই এই উদ্যোগ নিয়ে আমরা সচেষ্ট হয়েছি।”
চাকরির খবরঃ রাজ্যের মিউনিসিপাল সার্ভিস কর্পোরেশনে কর্মী নিয়োগ
চাকরি সম্পর্কিত আরও আপডেট পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল জয়েন করুন 👇👇
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: আগামী দিনের হাতিয়ার
প্রসঙ্গত, আগামী শিক্ষা বর্ষ শুরু হতে এখনো বেশ কিছুটা সময় রয়েছে। যদিও সেই সময়ের অপেক্ষা না করেই কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে পাঠ্যপুস্তকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংযোজনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তর। শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকে নতুন বিষয়ে যোগ করাই নয়, এই ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে শিক্ষকদের এই পদ্ধতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কাজটিও শুরু করে দেওয়া হয়েছে। এই উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় শিক্ষা সচিব সঞ্জয় কুমার বলেন, “আমাদের কাজটা খুবই কঠিন। আগামী দু’-তিন বছরের মধ্যে এই প্রযুক্তির সঙ্গে পড়ুয়া ও শিক্ষক — উভয়েই যাতে মানিয়ে নিতে পারে, তার জন্য দ্রুত কাজ করতে হচ্ছে। সব থেকে কঠিন হল দেশের প্রায় এক কোটি শিক্ষককে এই পদ্ধতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে তৈরি করা।”
বর্তমানে গোটা ভারত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহ একাধিক বিষয়ে ডিজিটালাইজেশনের কাজে অগ্রসর হয়েছে। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে আগামী দিনে নিজেদের তৈরি করে নিতে পারে তার জন্য বুনিয়াদি স্তর থেকেই ভিত্তি স্থাপন করছে সরকার।