পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে বছর বছর আসছে বিতর্কিত প্রশ্ন। যা নিয়ে আলোচনা শুরুর পাশাপাশি ধন্দে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। গত বছর ‘আজাদ কাশ্মীর’ প্রশ্নে বিস্তার জলঘোলা হয়েছিল। তাছাড়া অঙ্ক পরীক্ষার একটি প্রশ্ন নিয়েও সমস্যায় পড়েন শিক্ষার্থীরা। তাই এবার কড়া হাতে বিষয়টির সমাধান চায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মাধ্যমিক পরীক্ষার মতো টেস্ট পরীক্ষাতেও কোনোও বিতর্ক চায়না পর্ষদ। সম্প্রতি এ বিষয়ে জারি করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশিকায় কী বলা হয়েছে? নির্দেশিকায় পর্ষদ স্কুলগুলিকে জানিয়েছে, সিলেবাস মেনে টেস্টের প্রশ্নপত্র তৈরি করতে হবে। বিতর্কিত প্রশ্নগুলি থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। প্রশ্নপত্র তৈরির সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে সেই বিষয়ের শিক্ষকই যেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রশ্নপত্র প্রস্তুত করে। অর্থাৎ ইতিহাসের শিক্ষককেই টেস্টের ইতিহাস প্রশ্ন করতে হবে। অন্য বিষয়ের শিক্ষক করতে পারবেন না। স্কুলে নির্বাচনী পরীক্ষা শেষ হলে দ্রুত স্কুল কর্তৃপক্ষকে সমস্ত বিষয়ের প্রশ্ন ইমেল মারফত পর্ষদের কাছে পাঠাতে হবে। সর্বোপরি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরির সময় পাঠ্যক্রম মেনেই প্রশ্ন নির্মান করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের আর্থিক সাহায্য করবে রাজ্য সরকার
টেস্ট পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট গাইড লাইন জারি করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই গাইডলাইন মেনেই পরীক্ষা নিতে হবে সমস্ত স্কুলগুলিকে। প্রতিটি স্কুলকে আলাদাভাবে সাজাতে হবে প্রশ্ন। এছাড়া কোনোও সংস্থার সঙ্গে মিলিত ভাবে নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়া যাবে না বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে। পর্ষদের গাইডলাইনে যে সময়সীমা দেওয়া রয়েছে সেই সময়ের মধ্যেই পরীক্ষা নিতে হবে স্কুলগুলিকে। এছাড়া টেস্ট পরীক্ষা সম্পর্কিত কোনো নির্দেশ অমান্য করলে তার জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক দায়ী থাকবেন বলে জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।