মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার ঘন্টা প্রায় বেজে গিয়েছে বললেই চলে। এই অন্তিম মুহূর্তে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে আরও ১৪ দফার নির্দেশাবলী জারি করা হলো। আসলে এই নির্দেশটি তৈরি হয়েছে অনেকটা শপথ বাক্যের মত। প্রতিটি পরীক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে এই শপথ বাক্য পাঠ করার নির্দেশ দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষার্থীর কী করা উচিত সেই বিষয়েই একাধিক নির্দেশ উল্লেখিত রয়েছে এই অঙ্গীকার পত্রে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীর জন্য এই অঙ্গীকার পত্রের সমস্ত পয়েন্টগুলি বিশদে জেনে নেওয়া দরকার।
২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এতদিন পর্যন্ত একাধিক সমাজ মাধ্যমে এবং সরকার কর্তৃক প্রদত্ত টেস্ট পেপারে এই নির্দেশাবলী বা অঙ্গীকার পত্র প্রিন্ট করিয়ে দেওয়া হতো। তবে এই বছর থেকে সরাসরি শিক্ষার্থীদের দিয়ে পাঠ করানো হবে এই শপথ বাক্য। চলতি বছরের অ্যাডমিট কার্ড গ্রহণের সময় ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে নিতে হবে, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের গাইডলাইন (যা পরীক্ষার্থীদের শপথ বাক্য হিসাবে পাঠ করতে হবে)
১) পরীক্ষার হলে কোন রকম ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র নিয়ে যাব না।
২) পরীক্ষার কেন্দ্রে অভিভাবককে নিয়ে যাব না।
৩) পুরোপুরি ভাবে পরীক্ষার সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা কেন্দ্র ছেড়ে বের হব না।
৪) পরীক্ষা কেন্দ্রে আমি মাধ্যমিকের আসল অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে যাব।
৫) পরীক্ষায় ভালো নম্বর প্রাপ্তির জন্য কোনরকম অন্যায় উপায় অবলম্বন করব না।
৬) অ্যাটেনডেন্স শিট এ সই করার সময় প্রশ্নপত্রের ক্রমিক সংখ্যা লিখব ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন ২০২৫ পিডিএফ
জানুয়ারি মাসের ৩০ তারিখে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে বিতরণ করা হয়েছে এই বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার সমস্ত অ্যাডমিট কার্ড। এরপর বিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একটি নির্দিষ্ট দিন নির্বাচন করে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে এই অ্যাডমিট কার্ড। ওই দিনেই প্রত্যেকটি ছাত্র-ছাত্রীকে দিয়ে ১৪ দফার এই শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে নিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের একাধিক নিয়ম-কানুন ভালোভাবে জেনে বুঝে নেওয়ার জন্য এটি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের একটি দুর্দান্ত পদক্ষেপ। অনেক সময়েই পরীক্ষার দিনে কি করতে হবে আর কি করতে হবে না এই বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞান থাকেনা। সম্পূর্ণ এই শপথ বাক্য পাঠ করলে প্রতিটি ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রের আচার-আচরণ নিয়ে সচেতন হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক ইতিহাসে ভয়? ৮ নম্বরের এই প্রশ্নগুলি পড়ে গেলেই পরীক্ষায় বাজিমাত
যদিও এই বিষয়ে অনেকেই বলেছেন যে অ্যাডমিট কার্ড বিতরণের দিনে এই শপথ বাক্য পাঠ না করিয়ে পরীক্ষার প্রথম দিনে শপথ বাক্য পাঠ করালে ছাত্র-ছাত্রীরা আরও বেশি এই বিষয়ে ভালো হতে পারত। এই নতুন নির্দেশ জারি হওয়ার পর থেকে এর স্বপক্ষে এবং বিপক্ষে একাধিক মতামত জানানো হলেও ছাত্র-ছাত্রীদের সর্তকতা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।