ভারতীয় শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে আজ ৩০ শে মে ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত হল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের SSC নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাথে সাথেই চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তরফ থেকে বিক্ষোভ জানানো হলো। গোটা রাজ্য জুড়ে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং সরকারি স্কুল কর্মচারীদের হাহাকার ছড়িয়ে পড়েছিল। এই সময়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কাঠামো ধরে রাখার জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের অস্থায়ীভাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা। তবে এই বছরের মধ্যেই পুনরায় নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের কাজ শেষ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশ মেনেই এবার প্রকাশিত হলো সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।
কেন খুশি নন শিক্ষক শিক্ষিকারা?
ইতিমধ্যেই শিক্ষক শিক্ষিকারা নিজেদের নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে নিযুক্ত হয়েছিলেন। সরকারি বিদ্যালয়ে নিযুক্ত হয়ে বেশ কয়েক বছর কাজ করার পরেও ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। এমনকি সঠিক যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নির্বাচন করা যায়নি বলে, চাকরি হারান সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা। অযোগ্যদের পাশাপাশি যোগ্য কর্মীদের চাকরি বাতিল করে দেওয়ার জন্য অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। এবারে আবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর বিক্ষোভ জানালেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাদের দাবি, যে সকল যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা ইতিমধ্যেই নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে সরকারি বিদ্যালয়ে কর্মী হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন, তাদের আবার করে পরীক্ষা দিতে হবে, নিজেদের যোগ্যতার সিদ্ধ করতে হবে -এটা একেবারেই অযৌক্তিক।
আরও পড়ুনঃ প্রকাশিত হলো শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি
বর্তমানে যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজার স্কুল সার্ভিস কমিশন দ্বারা প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অত্যন্ত খুশির খবর। তবে চাকরি হারা শিক্ষক-শিক্ষিকা বহু বছর এই প্রস্তুতির বাইরে রয়েছেন। তারা ইতিমধ্যেই কর্মী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তাহলে তাদের কেন পুনরায় একই পদ্ধতি অবলম্বন করে নিজেদের যোগ্যতার সিদ্ধ করতে হবে? এই প্রশ্ন উঠছে মুখে মুখে। এভাবে নিয়োগ করা হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এখনকার প্রতিযোগিতার সঙ্গে পেরে উঠবেন না যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা। এই অল্প সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি নেওয়া এবং উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে তাদের। এমনকি এটা তাদের জন্য সঠিক ন্যায় নয় বলেও দাবি করেছেন অনেকেই।
আরও পড়ুনঃ বদল হবে না WBCS পরীক্ষার সিলেবাস! পুরানো পদ্ধতি মেনেই কি পরীক্ষা?
শিক্ষক শিক্ষিকাদের পরবর্তী পদক্ষেপ
চাকরি হারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মেনে নতুন নিয়োগ করা হলে আবার করে আদালতের দ্বারস্থ হবেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। যে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের মামলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাদের পক্ষ থেকে আবার করে পিটিশন দাখিল করা হবে।