স্কুল স্তরে সেমিস্টার সিস্টেম চালু নিয়ে আলোচনা চলছিল অনেকদিন ধরেই। কোভিড পরিস্থিতি চলাকালীন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ একাদশ-দ্বাদশে সেমিস্টার চালুর কথা জানায়। বিষয়টি পরবর্তীতে ধামাচাপা পড়লেও ফের এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসল সরকার। সেমিস্টার সিস্টেম চালুর সিদ্ধান্তে আরও কয়েক ধাপ অগ্রসর হয়েছে রাজ্য। সূত্রের খবর, জাতীয় শিক্ষা নীতি পর্যালোচনা কমিটি রাজ্য সরকারকে সম্প্রতি একটি প্রস্তাব দিয়েছে। আর সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে রাজ্য।
সোমবার ছিল মন্ত্রীসভার বৈঠক। আর এই বৈঠকে রাজ্য শিক্ষা কাঠামোয় আমূল পরিবর্তনের নীতি স্থির হয়েছে। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, তিন বছর সময় নিয়ে ধাপে ধাপে সেমিস্টার পদ্ধতিতে মূল্যায়ন চালু হবে রাজ্যে। কলেজের সেমিস্টার সিস্টেমে যেমন ছয় মাস অন্তর দুটি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়, স্কুলেও তেমনই বার্ষিক পরীক্ষার বদলে বছরে দুটি করে পরীক্ষা হবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে সেমিস্টার চালু হবে। পরে নবম-দশম শ্রেণীতেও এই পদ্ধতি চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুনঃ উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাস পরিবর্তনের কথা জানালেন পর্ষদ সভাপতি
নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে সেমিস্টার সিস্টেমে পঠনপাঠন চালু হলে সেক্ষেত্রে বোর্ড পরীক্ষার অস্তিত্ব থাকবে কিনা, তা নিয়ে দ্বিধান্বিত শিক্ষা মহল। সেমিস্টার সিস্টেমে পঠনপাঠন চালু হলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা উঠে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বার্ষিক পরীক্ষার বদলে বছরে দুটি পরীক্ষা হলে বোর্ড পরীক্ষার গুরুত্ব হারাবে। এতদিন নানা কারণে স্কুল স্তরে সেমিস্টার চালু হয়নি। তবে এবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগ থেকে স্পষ্ট যে, উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শীঘ্রই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য। এর ফলে বাংলার স্কুল শিক্ষা কাঠামো যে আমূল বদলে যাবে তা এখন থেকেই ধারণা করা যায়।