বিদ্যালয় বা যেকোনো শিক্ষাঙ্গন ভোরে ওঠে শিক্ষার্থীদের নিয়ে। যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী যত বেশি সেই শিক্ষাঙ্গনের মাধুর্যও তত বেশি। সর্বশিক্ষা অভিযানের মাধ্যমে ভারতের প্রতিটি গ্রামাঞ্চলের বুনিয়াদি শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নতর করার কাজ চালাচ্ছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যেই ১৯৯৫ সালে ‘মিড্ – ডে – মিল’ -এর মত প্রকল্প চালু করে এদেশের সরকার। যার লক্ষ্য ছিল পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুদের দৈনিক পুষ্টির ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের দৈহিক এবং মানসিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করা। সে পথে গড়িয়েছে অনেক জল। একবিংশ শতাব্দীর ভারতবর্ষ আজ তড়িৎ গতিতে ছুটে চলেছে পশ্চিমিবিশ্বের দেশগুলির সাথে পাল্লা দিয়ে।
তবে আজও সময়ের স্রোত বেয়ে মাঝে মধ্যেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে এমন ঘটনা যা দেখলে মনে হয় আমরা এখনো পড়ে আছি সেই মান্ধাত্বার আমলে। বিদ্যালয় শব্দটি মাথায় এলে চোখের সামনে ভেসে ওঠে ক্লাসরুমের ভেতর ছোটো ছোটো বাচ্চাদের কলরবের ছবি। তবে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকায় আছে এমন এক স্কুল যার ছাত্রছাত্রী সংখ্যা শুনলে অবাক হবেন আপনিও। দীর্ঘ সময় ধরে এই স্কুলে মাত্র দুজন পড়ুয়া নিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন। খাতায় কলমে স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা পঁচিশ জন হলেও নিয়মিত ক্লাস করে মাত্র দুজন। বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের এই সংখ্যা প্রমাণ দিচ্ছে স্থানীয় সামাজিক সমস্যার। এ নিয়ে চিন্তা ব্যাক্ত করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারাও।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষক, শিক্ষিকাদের বদলি সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠালো স্কুল শিক্ষা দপ্তর
বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া কোচবিহার জেলা। জেলার দিনহাটা মহকুমার কালামাটি শিমুলতলা অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষই নিম্নবিত্ত কৃষিজীবী। তাই এইসব লোকেদের নিজের বাচ্চাদের বুনিয়াদি শিক্ষার একমাত্র ভরসা সরকারি বিদ্যালয়। সেই সরকারি বিদ্যালয়ের এই দৈন দশায় চিন্তা ব্যক্ত করছেন স্থানীয় মানুষরা।
বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার কথায়, বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার রাস্তা বেহাল বহুদিন ধরেই। বাচ্চাদের ‘মিড – ডে – মিল’ খাওয়ার কোনো সুব্যবস্থা নেই। তাদের ‘মিড – ডে – মিল’ খেতে হয় ক্লাসরুমের মধ্যেই নতুবা স্কুলের ফাঁকা মাঠে। বেহাল অবস্থা রান্নাঘরেরও। বিদ্যালয়ে মোট চারটি শ্রেণীকক্ষ থাকলেও তারমধ্যে দুটির প্রায় ভগ্ন দশা। ব্যবস্থা নেই পরিস্রুত পানীয় জলের। পড়ুয়াদের জন্য ভালো বাথরুমেরও ব্যবস্থা নেই দীর্ঘকাল। এসব একাধিক কারণেই ধীরে ধীরে কমেছে পড়ুয়ার সংখ্যা। শিক্ষিকা এও জানান, বহুবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এইসব সমস্যার সমাধানের আবেদন জানানো হলেও হুঁশ ফেরেনি কোনো প্রশাসনিক কর্তার। ফলত দূরবর্তী বিদ্যালয়গুলিতে যেতে বাধ্য হচ্ছে পড়ুয়ারা।
প্রতিদিনের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স 2024: জাতীয় এবং রাজ্য স্তরের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের চাকরিপ্রার্থীদের প্রস্তুতির…
WBP Constable Practice Set 2024: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে কনস্টেবল ও লেডি কনস্টেবল নিয়োগ ২০২৪ -এর…
আপনি কি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা? নূন্যতম যোগ্যতায় ভালো চাকরি খুঁজছেন? তাহলে আজকের প্রতিবেদনটি আপনার জন্য। আজকের…
WB Gram Panchayet Practice Set 2024: পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তর, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে…
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ইন্টারভিউর মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। কোনও লিখিত পরীক্ষা…
সেন্ট্রাল গ্লাস এন্ড সিরামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট -এর পক্ষ থেকে বেশকিছু শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ…