রাজ্যে চলছে গরমের ছুটি। এপ্রিলের হাঁসফাঁস গরমে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে গ্রীষ্মাবকাশ। সেই মতো গত ২রা মে থেকে রাজ্যের সরকারি স্কুল গুলিতে গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে। বর্তমানে যেখানে রাজ্যের বেশিরভাগ স্কুলই এখন বন্ধ, সেখানে এক ভিন্ন চিত্র দেখা গেল জঙ্গলমহলে। সেখানে ছুটি নয়, বরং সকাল সন্ধ্যে চলছে পঠনপাঠন।
সূত্রের খবর, গরমের ছুটিতেও রাজ্যের এক প্রত্যন্ত সরকারি বিদ্যালয়ে চলছে পড়াশোনা। সংশ্লিষ্ট স্কুলটি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামের। মুলত পিছিয়ে পড়া দরিদ্র্য শিশুদের নিয়েই এই বিদ্যালয়টি চলে। এই সকল শিশুদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন থাকলেও বাড়িতে পড়া দেখিয়ে দেওয়ার মতো বা সাহায্য করার মতো কেউ নেই, তাই তাঁদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক ভবতোষ ভৌমিক। ঝাড়গ্রাম ব্লকের বাঘচাঁপা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তিনি। এই শিশুদের জন্য সকাল, বিকেল দুবেলাই পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করেছেন শিক্ষক।
আরও পড়ুনঃ বন্ধ হবে সমস্ত অনলাইন ক্লাস
প্রসঙ্গত, এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে গরমের পরিস্থিতি কিছুটা কম রাজ্যে। এমতাবস্থায় সরকারি বিদ্যালয়গুলি বন্ধ থাকায় সিলেবাস শেষ করা নিয়ে চিন্তিত শিক্ষক মহল। যদিও শিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ, অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে সিলেবাস কমপ্লিট করতে হবে, তবুও কতটা সঠিকভাবে সবটা সম্পন্ন হবে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। শিক্ষক মহলের দাবি, এতদিনের ছুটির পড়া একসাথে পড়ানো খানিকটা অসুবিধারই। বাড়তি চাপ পড়তে পারে পড়ুয়াদের উপরেও। সবদিক বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এদিকে, ঠিক কতদিন ছুটি চলবে তা এখনও জানায়নি শিক্ষা দফতর। ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণেও বিলম্ব হচ্ছে।