স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন নিয়োগ শুরু হচ্ছে আগামী তিন মাসের মধ্যে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই ঘোষনা করা করেছ সুপ্রিম কোর্ট। এরই মাঝে গত শুক্রবার রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে জানালেন একাধিক তথ্য। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন চাকরি প্রার্থীর জন্য চেয়ারম্যানের বক্তব্যগুলি যথেষ্ট পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ। এসএসসি -র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের বক্তব্য থেকে প্রয়োজনীয় পয়েন্টগুলি বুঝে নিতে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়ুন আজকের প্রতিবেদনটি।
WBSSC Teacher Recruitment 2025
সম্পদের ভারতের শীর্ষ আদালতের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার সরকারি বিদ্যালয়ের কর্মী। বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ এসএসসি প্যানেল। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জুড়ে এখন শুধুই হাহাকার! এর মাঝেই এক সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের কাছে নিয়োগের খবর জানালেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে। এখনো পর্যন্ত অনেক বিষয়ে পরিষ্কার নয় রাজ্যের কাছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্ত রকমের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে তবেই পরবর্তী নিয়োগ শুরু হবে।
চাকরিহারা ২৬ হাজার সরকারি কর্মচারীর মধ্যে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাড়াও রয়েছে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীরা। এদের মধ্যে বহু কর্মী নির্দোষ। তাদের জন্য নতুন করে প্যানেল তৈরি করে আগামী তিন মাসের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগামী তিন মাসের মধ্যে এই নিয়োগের ছাড়পত্র প্রদান করেছেন।
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রী পোষণ প্রকল্পে গ্ৰুপ- সি কর্মী নিয়োগ, প্রতিমাসে বেতন ১১ হাজার টাকা
তবে এক্ষেত্রে চেয়ারপারসন সিদ্ধার্থ মজুমদার স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বেশ কিছু ধন্ধ রয়েছে। পরবর্তীকালে এই নিয়োগের জন্য সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে এবং আইনি পরামর্শ নিয়ে তবেই নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এত বড় নিয়োগ তিন মাসের মধ্যে শেষ করা কতটা বাস্তব ভিত্তিক, তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।
যারা পুরনো চাকরি থেকে এসেছিলেন, তাদেরকে পুনরায় পুরনো চাকরিতে ফিরে যাওয়ার আবেদন জানানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ অনুসারে পরবর্তীকালে সরকারি দপ্তর গুলিতে অতিরিক্ত পদ তৈরির বিষয়টিও আলোচনা সাপেক্ষ।
আরও পড়ুনঃ বর্তমানে কি কি চাকরির ফর্ম ফিলাপ চলছে একনজরে দেখে নিন
চাকরিহারাদের মধ্যে ১২,৯০৫ জন নবম দশম শ্রেণীর এবং ৫,৭১২ জন একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক পদে বহাল ছিলেন। বাকি সমস্ত কর্মী গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এই সকল প্রার্থীদের মধ্যে থেকে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করে পুনরায় নিয়োগ হবে বলে জানানো হয়েছে। আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই এই নিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানালেন সিদ্ধার্থ মজুমদার।