School Summer Vacation: রাজ্যের স্কুলগুলিতে বাড়ানো হল গরমের ছুটির মেয়াদ, জেনে নিন কতদিন বাড়লো ছুটি
রাজ্যের স্কুল পড়ুয়াদের জন্য খুশির খবর। রাজ্যের প্রতিটি সরকারি স্কুলে গরমের ছুটি বাড়ানো হল। তীব্র দাবদাহের কারণে এবারে রাজ্যের স্কুল গুলির গরমের ছুটি বেশ কিছুদিন এগিয়ে আনা হয়েছিল। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পূর্ববর্তী বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির গরমের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল ২ জুন তারিখ পর্যন্ত। অত্যাধিক গরম থাকার কারণে রাজ্যে যেমন গ্রীষ্মের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল তেমনি লোকসভা নির্বাচনের কারণে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জেলার স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন সম্পূর্ণ হয়েছে। একটি দফার নির্বাচন বাকি আছে পশ্চিমবঙ্গে দু’টি জেলায়। আগামী ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা হবে। তবে এদিন ২৭ মে তারিখে রাজ্যে স্কুলগুলিতে ছুটির বিষয় নিয়ে নতুন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। যেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, ২ জুন ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে আগামী ৩ জুন তারিখ থেকে শুধুমাত্র শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের জন্য স্কুল খুলে যাচ্ছে। অর্থাৎ পূর্ববর্তী ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩ জুন তারিখ থেকে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদের স্কুলে আসতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ৪ জুনের পর বন্ধ হয়ে যাবে ‘গুগল পে’ সার্ভিস
নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে স্কুলে পঠন-পাঠনযোগ্য পরিবেশ আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখার জন্যই শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের স্কুলে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত স্কুল পরিসর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে শ্রেণিকক্ষগুলিকে পঠন পাঠনযোগ্য তৈরি করতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ছুটির বর্ধিত সময়সীমার মধ্যে। উল্লেখ্য রাজ্যের প্রতিটি জেলার স্কুলগুলির পরিবেশ পঠন পাঠনযোগ্য হওয়ার পর আগামী ৯ জুন তারিখ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ৯ জুন, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত স্কুল ছুটি থাকবে।
স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, দীর্ঘকালীন ছুটি কাটিয়ে স্কুলগুলি পুনরায় খোলার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে অতিরিক্ত ক্লাস গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। দীর্ঘ ছুটির কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনে যে ঘাটতি এসেছে সেই ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুল গুলির সমস্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের। দ্রুত সিলেবাস শেষ করার পর ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়ন পরীক্ষা অর্থাৎ ক্লাস টেস্টের আয়োজন করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।