রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদ বাড়ালো সরকার! চাকরি পাবেন আরও বেশি সংখ্যক যুবক-যুবতী
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার ফলে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদ নিয়ে তৈরী হয়েছিল বিভ্রান্তি। শিক্ষক নিয়োগের আসল শূন্যপদ জানা গেল এবার। বিস্তারিত পড়ুন আজকের প্রতিবেদনে।
![রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদ](https://www.exambangla.com/wp-content/uploads/2023/12/bratya-bosu-780x470.jpg)
পশ্চিমবঙ্গের চাকরিপ্রার্থী তরুণ-তরুণীদের জন্য খুশির খবর। রাজ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের মোট কত শূন্যপদ রয়েছে তা এবার খোলসা করল সরকার। বিস্তারিত পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, ও উচ্চমাধ্যমিক ক্ষেত্রের। সম্প্রতি বিধানসভার সাংবাদিক বৈঠকে এ বিষয়ে বিবৃতি দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর এই বিবৃতির পরই আরম্ভ শোরগোল। গোটা রাজ্যে শিক্ষকদের শূন্যপদ মাত্র ৭৮১! মত পাল্টা মতের মাঝে ফের মুখ খোলেন শিক্ষামন্ত্রী। এবার তিনি বলেন, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদ আরও অনেক বেশি।
মঙ্গলবার বিধানসভার সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু জানান, বর্তমানে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে মোট শূন্যপদের সংখ্যা ২৬৭ টি। উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে শূন্যপদের সংখ্যা হল ৪৭৩ টি। এছাড়া, মাধ্যমিক স্কুলে রয়েছে ২৮ টি শূন্যপদ, উচ্চমাধ্যমিক ক্ষেত্রে রয়েছে ১৩ টি শূন্যপদ। সবমিলিয়ে মোট ৭৮১ টি শূন্যপদের হিসেব দেন তিনি। কিন্তু এরপরই শুরু হয় জোরদার বিতর্ক। বিতর্কের অবসান করতে শিক্ষামন্ত্রী জানান, “বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে আমি বলেছিলাম, শিক্ষকের শূন্যপদ কত, আমার পক্ষে এই মুহূর্তে তা বলা সম্ভব নয়। কারণ প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ অবসর নিচ্ছেন। আমার কথা নিয়ে কিছু বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য দিয়ে সেই বিতর্কের অবসান করতে চাই।” এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুধবার ব্রাত্যবাবু উল্লেখ করেন, তিনি এর আগে মোট শূন্যপদের যে হিসেব দিয়েছিলেন প্রকৃত শূন্যপদ তার চাইতে অনেক বেশি।
আরও পড়ুনঃ টেটের অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করা যাবে কবে থেকে?
এরপরই চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে গুঞ্জন, তবে যে এর আগে লক্ষ লক্ষ শূন্যপদের হিসেব দেওয়া হয়েছিল তার কী হবে? যদিও ব্রাত্যবাবু এর আগে বলেন, বিরোধীদের ঘোষণা করা শূন্যপদের সংখ্যা সম্পূর্ণ ভুয়ো। পাশাপাশি, শূন্যপদের নিয়োগ নিয়েও বিবৃতি দেন তিনি। আইনি জটিলতার কারণে শিক্ষক নিয়োগ যে থমকে আছে, তা অতি শীঘ্রই কাটবে বলে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস। অন্যদিকে চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, শূন্যপদের স্পষ্ট হিসেব প্রকাশ করুক রাজ্য। কারণ সীমিত শূন্যপদের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন লাখ লাখ যুবক-যুবতী।