গরমের কারণে রাজ্য সরকার গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে এনেছে। ছুটির আনন্দে মেতে ওঠার আগেই পড়ুয়াদের জন্য বিপদঘণ্টা বাজিয়ে দিল কাউন্সিল। বড় ফ্যাসাদে তৃতীয় সেমিস্টারের পড়ুয়ারা। সেপ্টেম্বর মাসে উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা, আর সে কারণেই, পড়ুয়াদের ভালো রেজাল্টের তাগিদে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আর তা থেকেই দানা বেঁধেছে চওড়া বিতর্ক।
রাজ্যের স্কুলগুলিতে আজ থেকে গরমের ছুটি শুরু হচ্ছে। গরমের ছুটির পরে আবার কবে ক্লাস শুরু হবে, সেই সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করা না করলেও কিছু অংশের শিক্ষার্থীদের চাপ বাড়াল সংসদ। তৃতীয় সেমেস্টারের পড়ুয়াদের পরীক্ষা প্রস্তুতিতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা মাথায় রেখেই রাজ্য উচ্চমাধ্যমিক কাউন্সিল সরকার এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিকে জানিয়েছে যে গ্রীষ্মের ছুটিতে তৃতীয় সেমিস্টারের (দ্বাদশ শ্রেণিতে) ক্লাস অনলাইনে নেওয়া হতে পারে। সংসদের তরফে অনলাইন ক্লাসের বিজ্ঞপ্তিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক রেজাল্ট নিজের মোবাইলে কীভাবে দেখবেন?
এদিকে, সবচেয়ে বড় বিষয় হল বিভিন্ন ভাষার বই স্কুলে পৌঁছায়নি। এখনও অনলাইনে সব ডাউনলোড করেই পড়তে হচ্ছে পড়ুয়াদের। সেদিকের ব্যবস্থা এখনও অধরা। অথচ সেপ্টেম্বরের পরীক্ষার তাগিদে এমন অনলাইন ক্লাসের ঘোষণা মোটেও ভালো চোখে নেয়নি শিক্ষা মহল। প্রশ্ন সময়ের আগেই গরমের ছুটি কেন? এমনিতেও ছোটরা অনলাইন ক্লাসে আগ্রহ দেখায় না বলেই দাবি শিক্ষক সংগঠনগুলির। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ নির্দেশ দিলে কী হবে, আগেও দেখা গিয়েছে যে ছাত্রছাত্রীরাই অনলাইন ক্লাসে আগ্রহী নয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ অনলাইনে ক্লাস করাতে গেলে খুব কম ছাত্রছাত্রীরাই অনলাইনে থাকে।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক পাশে সেরা ৫টি স্কলারশিপের খবর, কীভাবে আবেদন করবেন দেখুন
যদিও, এ সমস্ত বিষয় এখনও অবধি ভেবে দেখেনি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদের দাবি, সেপ্টেম্বর মাসে উচ্চমাধ্যমিকে তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা। এই তৃতীয় এবং তারপর চতুর্থ সেমেস্টার দেখেই তবে পরের বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন হবে। তাই তৃতীয় সেমেস্টারের জন্য বেশি ক্লাস জরুরি। দাবদাহের কারণে ছুটি পড়ছে ঠিকই। কিন্তু অনলাইনে ঠিকই পড়তে হবে। এ প্রসঙ্গে, শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পড়ুয়ারা তাদের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলোচনা করে ছুটির দিনে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করে নেবে।