প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে আগেই। টেট ইন্টারভিউতে অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন প্রার্থীরা। বহু প্রার্থীকে অ্যাপটিটিউড টেস্টের নম্বর ছাড়া চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়। ক্রমে এই অভিযোগ গড়ায় আদালত অবধি। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অভিযোগে দুষ্ট ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। ক্রমে এই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট অবধি। শীর্ষ আদালত থেকে মামলা আসে হাইকোর্টে। আর এবার হাইকোর্টের তরফেও এই মামলায় সুপ্রিম স্থগিতাদেশ বজায় রাখা হল।
সোমবার হাইকোর্টে ছিল এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি। মামলার শুনানিতে সওয়াল করেন পর্ষদ আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ সব শুনে নির্দেশ দেন, সংশ্লিষ্ট মামলায় বজায় থাকবে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট মামলায় নিম্ন আদালতে জমা পড়া নথিগুলি চেয়ে পাঠান তিনি। ফলে এখনই ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হচ্ছে না। এই মামলার অগ্রগতি হবে পরবর্তী শুনানির দিন। আগামী ৪ অক্টোবর মামলাটির ফের শুনানি হবে।
আরও পড়ুনঃ বেতন বাড়বে রাজ্য সরকারি কর্মীদের
আপাতত হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তে কিছুটা স্বস্তিতে শিক্ষকেরা। তবে এই মামলার মোড় কোনদিকে ঘুরবে তা নিয়ে যথেষ্ট দ্বিধাগ্রস্ত তাঁরা। এতদিন নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বহু অযোগ্য শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। কিন্তু একসঙ্গে এত সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হওয়া নিঃসন্দেহে একটি বড় ঘটনা। তাই এই মামলা কোন দিকে ঘোরে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী শুনানি অবধি।