Success Story: কোচিংয়ের সাহায্য ছাড়াই UPSC পাশ কস্তুরী! কিভাবে নিতেন প্রস্তুতি জানুন আজকের প্রতিবেদনে
ছিলনা কোনো বিশেষ কোচিং। নিজের চেষ্টাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে আজ দেশের সফল আইএএস হওয়ার কাহিনী শোনালেন কস্তুরী পান্ডা।
ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC) -এর সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেশের কঠিনতম পরীক্ষা বলে বিবেচিত হয়। প্রতি বছর এই পরীক্ষায় বসেন লাখ লাখ পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে বেছে নেওয়া হয় যোগ্যদের। ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য হাজার হাজার কোচিং সেন্টার চালু রয়েছে দেশে। অনেকে মনে করেন, ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কোচিং সেন্টারে পড়া বাধ্যতামূলক। তবে কোচিং ছাড়াও নিজে পড়ে যে ইউপিএসসি ক্র্যাক করা যায় তাঁর দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন IAS অফিসার কস্তুরী পান্ডা। সম্পূর্ণ সেল্ফ স্টাডির মাধ্যমে ইউপিএসসি টপ করেছেন তিনি।
প্রিলিমিনারি, মেন ও ইন্টারভিউ রাউন্ড। এই তিন ধাপে পাশ করা প্রার্থীরা ইউপিএসসি সফল বলে বিবেচিত হন। ইউপিএসসি পাশ করার পথ যথেষ্ট দুর্গম হলেও নির্দিষ্ট সূত্র মেনে চললে তা অতিক্রম করা কঠিন নয়। ওড়িশার IAS কস্তরী পান্ডা UPSC তে ৬৭ তম স্থান অধিকার করে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তিনি জানান, কোনো কোচিং নয় বরং সেল্ফ স্টাডির হাত ধরেই এসেছে তাঁর কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। তাঁর কথায়, সফল হতে হলে পড়তে হবে স্মার্ট মেথডে। নিজ পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় কস্তরী ক্লাস নাইন থেকে ক্লাস টুলেভের বিষয়গুলি ভালো করে পড়েছিলেন। এর পাশাপাশি স্বঅনুশীলন, ও প্রশ্নোত্তরের নিয়মিত প্র্যাকটিস করতেন তিনি। টাইম ম্যানেজমেন্টেও গুরুত্ব দিতেন কস্তুরী। ঘড়ি ধরে ২ ঘন্টার মধ্যে ৯০-৯৪ টি প্রশ্নের সমাধান করতেন। এর সঙ্গে ছিল মক টেস্টে অংশ নেওয়া। পরীক্ষা প্রস্তুতি পরখ করার জন্য এর বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি। ২০২২ সালে প্রথম ইউপিএসসি অ্যাটেম্পটের আগে ৩০ টির মতো প্র্যাকটিস এক্সাম দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ প্রথম চেষ্টায় IAS অফিসার হলেন রিক্সাচালকের ছেলে
IAS কস্তুরী পান্ডা পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইউপিএসসিতে পাশ করতে গেলে অবশ্যই মনে হার না মানা মানসিকতা রাখতে হবে। কঠোর পরিশ্রম, একাগ্রতা, মনোযোগী অনুশীলনের পাশাপাশি জেতার জেদ ও অদম্য ইচ্ছেশক্তি পৌছে দিতে পারে সাফল্যের দরজায়। কস্তুরী পান্ডা NIT রাউরকেল্লা থেকে স্নাতক উত্তীর্ণ। স্নাতক পাশের পর তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। তবে একেবারেই বাজিমাত হয়নি তাঁর। প্রথমবারের চেষ্টায় তিনি ইন্টারভিউ রাউন্ড অবধি পৌছেও পরাস্ত হন। কিন্তু হাল না ছাড়ার প্রতিজ্ঞা নেওয়া কস্তরী দ্বিতীয় বারেই লক্ষ্যভেদ করেন। লিখিত পরীক্ষায় তাঁর স্কোর ৮৬৬-সহ মোট ১০৬৬। এরপর ইন্টারভিউ রাউন্ড অতিক্রম করে IAS হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। তাঁর এই সফলতা অন্য পরীক্ষার্থীদের কাছে দৃষ্টান্ত। পরীক্ষার্থীরা তাঁর টিপস মেনে পড়লে অবশ্যই সফল হতে পারবেন পরীক্ষায়।