IAS Sreenath K: রেল স্টেশনের কুলি থেকে আইএএস অফিসার! জীবনযুদ্ধের অনবদ্য কাহিনী পড়ুন আজকের প্রতিবেদনে
IAS Sreenath K: মন থেকে কিছু চাইলে এবং তার জন্য সঠিক পরিশ্রম করার পরিকল্পনা করলে অবশ্যই সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। প্রস্তুতি আর পরিশ্রম সঠিক সময় দিয়ে এই দুই জিনিসকে প্রতিনিয়ত অভ্যাস করলে নির্দিষ্ট সময় পর সফলতা আসতে বাধ্য। এমনই এক অনন্য সফলতার কাহিনী পেশ করা হল আজকের প্রতিবেদনে। ইচ্ছা শক্তির কাছে হার মানে সমস্ত প্রতিকূলতা, নিজের জীবনের উদাহরণ দিয়ে এই সত্যকে প্রমাণ করেছেন শ্রীনাথ। বর্তমানে তিনি একজন সফল আইএএস অফিসার। তবে আইএএস হওয়ার আগের জীবনে তিনি ছিলেন রেল স্টেশনের একজন সাধারণ কুলি। দিনরাত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে স্টেশনের যাত্রীদের মালপত্র বহন করতেন নিজের মাথায় করে। এমনই একজন ব্যক্তি কিভাবে হলেন দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আধিকারিক? আসুন আজকের প্রতিবেদনে সেই সফলতার গল্প জেনে নিই।
এই শ্রীনাথ হলেন কেরলের মুন্নারের বাসিন্দা। হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা এই ব্যাক্তি জীবনের শুরুতে অনেক সংগ্রামের সম্মুখীন হয়েছেন। বরাবরই তার চোখে স্বপ্ন ছিল বড় কিছু করে দেখানোর, কিন্তু সেই বড় কিছু করে দেখানোর পথ কখনোই সুগম ছিল না। পরিবারের হতদরিদ্রতার কারণে তার প্রথম চিন্তা ছিল দুবেলার খাবার জোগাড় করা। দুবেলা পেটের খাবার জোগাড় করতে কেরলের এর্নাকুলাম রেল স্টেশনে কুলির কাজ করতেন তিনি। সেই সময় তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন তিনি। একার উপর সম্পূর্ণ পরিবারের দায়িত্ব থাকায় দিনরাত্রি দুটি শিফটে কাজ করতেন। দুটি শিফটে কাজ করার পর তার দৈনিক আয় হত ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। সেই অর্থ দিয়েই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের মুখে খাবার জুগিয়েছেন এক সময়।
আরও পড়ুনঃ বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য IAS হলেন মেয়ে
এত প্রতিকূলতার মাঝেও নিজের স্বপ্নকে কখনও ভুলে যাননি শ্রীনাথ। আইএএস আধিকারিক হওয়ার স্বপ্ন থাকলেও অর্থের অভাবে নামিদামি ইনস্টিটিউটে পড়ার মতো সামর্থ্য ছিল না। ২০১৬ সাল থেকে সমস্ত বড় রেল স্টেশনে যখন সরকার ফ্রি ওয়াইফাই -এর ব্যবস্থা করে, সেই সময় থেকেই ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখেই নিজের প্রস্তুতি শুরু করেন। সেই সময় স্টেশনে থেকেই পড়াশোনা করতেন শ্রীনাথ। ভালো পরিবেশ পাওয়ার জন্য পরবর্তীতে তিনি মুম্বাই সেন্ট্রাল স্টেশনে কুলির কাজ করতেন এবং সেখানে থেকেই পড়াশোনা করতেন কাজের ফাঁকে। তবে প্রথমবার ইউপিএসসি নয়, জীবনে প্রথমবার তিনি কেরল পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সরকারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার অধ্যবসায় তাকে প্রথম চেষ্টাতেই কেরল পাবলিক সার্ভিস কমিশনের একজন কর্মচারী করে তোলে। তবে তার স্বপ্ন ছিল ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। সেই লক্ষ্য পূরণ করার জন্যই চাকরির ফাঁকে ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেন। তিন তিনবার ব্যর্থ হওয়ার পর চতুর্থ বার ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাস করে আইএএস আধিকারিক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন শ্রীনাথ।