প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দূর্গাপূজার পর টেট পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করছিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করতেই বিপাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, বিশেষত পর্ষদের নবনিযুক্ত সভাপতি গৌতম পাল।
এদিন পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানান, সেইদিন সকাল থেকে তার ব্যক্তিগত মোবাইলে বহু ফোন আসে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই জানানো হয়, ২০১৪ এবং ২০১৭ টেটে সফল এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বহুসংখ্যক চাকরী প্রার্থীদের এখনও নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। এইসব নিয়োগের সম্পন্ন হবার আগে আবার টেট পরীক্ষা নিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এই ধরনের হুমকিতে জেরবার পর্ষদ সভাপতি।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা মেট্রো রেলে মোটা বেতনের চাকরি
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথম ধাপে ৪২,৯০০ শিক্ষক চাকরি পেয়েছেন। যারা প্রথম ধাপে পাননি চাকরি তারা ২০২০ সালে সাড়ে ১৬ হাজার শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তিতে ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। আরোও যারা এখনও পাননি তারা আন্দোলন করছেন কলকাতার রাস্তায়। ২০১৭ এর টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রায় আড়াই লক্ষের মতো চাকরীপ্রার্থী ফর্ম পূরণ করেছিলেন। গত বছরে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তার ফলাফলে মোট ৯৮৯৬ জন পাশ করেছেন। এই টেট পাশ প্রার্থীদের কোনোরকম ইন্টারভিউ এখনও অবধি হয়নি।
আরও পড়ুনঃ প্রাইমারি টেট পরীক্ষা হবে CTET পরীক্ষার নিয়মেই
কিছুদিন আগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তীর একটি নির্দেশিকা সামনে আসে। যেখানে থেকে স্পষ্ট হয় যে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আগামী টেটের জন্য প্রস্তুতি শুরু করছে। জেলায় জেলায় পরীক্ষা কেন্দ্র ভেন্যু বাছাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলার অফিসগুলোকে। তাই টেট পাশ চাকরী প্রার্থীদের দাবী এতদিন টেট পাশ করা সমস্ত প্রার্থীদের আগে চাকরি দেওয়া হতো, তারপর নতুন টেট নেওয়া হতো। কিন্তু এবারে তার অন্যথা হচ্ছে। চাকরী প্রার্থীদের আরোও দাবী, আগে নিয়োগ তারপর নতুন টেট।
চাকরির খবরঃ রাজ্যের পৌরসভায় গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগ