এক নজরে
নমস্কার বন্ধুরা। এবার থেকে সরকারি কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থানের সন্ধান নিয়ে হাজির হবে ExamBangla.com , ‘বিকল্প কর্মসংস্থান’ -এর এই সিরিজে আমরা আপনাদেরকে জানাবো বিভিন্ন ব্যবসার সম্পর্কে। কারণ অনেকেই চাকরি না পেয়ে দিশেহারা হয়ে ওঠেন। কি করবেন কোথায় যাবেন কিছুই খুঁজে পান না। এই পরিস্থিতিতে কিছু জন খারাপ পথ বেছে নেন।
আজকের পোষ্টে আপনাদের সঙ্গে মোট ৫ টি লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে জানানো হবে। কোনরূপ ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই অথবা স্বল্প ইনভেস্টমেন্ট করে এই ব্যবসা গুলি শুরু করতে পারবেন। ব্যবসার প্রতি আপনার ভালোবাসা, ব্যবসার প্রতি দায়বদ্ধতা এবং আপনার অধ্যাবসায় আপনাকে ব্যবসায় সফলতা দেখাতে পারে।
অনেকেই আছেন যাদের সরকারি চাকরি খুব ভালো লাগে। আবার অনেকেই আছেন সরকারি চাকরি করতে তাদের ভালো লাগে না। কারণ তারা অন্যের অধীনে কাজ করতে চান না। নিজে কিছু করতে চান। যারা নিজে কিছু করতে চান তাদের জন্য এই ব্যবসার আইডিয়া গুলি দেওয়া হল।
বর্তমানে গোটা ভারত বর্ষ জুড়ে অধিকাংশরাই অনলাইনে জিনিসপত্র কেনাকাটা করছেন। করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউন ঘোষণার পর থেকে অনলাইন কেনাকাটার সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ই- কমার্স কোম্পানি গুলির বেশি সংখ্যক ডেলিভারি বয়ের প্রয়োজন হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকার কুরিয়ার এজেন্সির সঙ্গে কথা বলে কাজ শুরু করতে পারেন। আবেদন করার জন্য প্রয়োজন একটি বাইক এবং বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স। বাইক না থাকলেও আবেদন করা যাবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে সাইকেলে ডেলিভারি দিতে যেতে হবে।
এই কাজে আপনার নিজের কোন ইনভেস্টমেন্ট নেই। একজন ফ্লিপকার্ট ডেলিভারি বয়ের জানিয়েছেন, প্রতিটি প্রোডাক্ট ডেলিভারি করলে ১০ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। বিভিন্ন সময়ে এটি পরিবর্তনশীল। প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া যাক, আপনাকে প্রতিদিন ৫০ টি প্রোডাক্ট ডেলিভারির জন্য দেওয়া হলো। তাহলে ওই দিন আপনার রোজগার হলো ৫০ × ১২ = ৬০০ টাকা। প্রতিমাসে আপনার রোজগার হবে ৩০ × ৬০০ = ১৮,০০০/- টাকা।
যদি আপনি ভালো কাজ করেন তাহলে প্রতিদিন ১০০ টি প্রোডাক্ট ডেলিভারির জন্য পেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি আরও বেশী রোজগার করতে পারবেন।
অ্যামাজন বা ফ্লিপকার্ট এদের নিজস্ব কুরিয়ার সার্ভিস রয়েছে। তাছাড়াও গোটা ভারত বর্ষ জুড়ে আরও অনেক কুরিয়ার কোম্পানি রয়েছে। যেমন- DTDC, FedEx, Delhivery, Profesional Courier ইত্যাদি।
আপনার এলাকায় এই কুরিয়ার কোম্পানিগুলির ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে পারেন। সংশ্লিষ্ট কুরিয়ার কোম্পানির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। কিছুদিনের মধ্যে আপনার সাথে কোম্পানি থেকে যোগাযোগ করবে। কুরিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে প্রতি মাসে আপনি ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বা তার বেশি রোজগার করতে পারবেন। এমনকি আপনি আরও ২- ৩ জন ব্যক্তিকে কাজ দিতে পারবেন। এটি শুরু করার জন্য তেমন কোনো ইনভেস্টমেন্ট লাগেনা। তবে যে কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি নেবেন ওই কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন এর জন্য ১০ হাজার টাকা মতো দাবি করতে পারে। আর আপনি যেখানে ফ্রাঞ্চাইজি অফিস খুলবেন সেই জায়গাটি নিজের না হলে আপনাকে ভাড়া নিতে হবে।
কি? হাসি পেল? কি মনে হচ্ছে? এটা আবার কোনো ব্যবসা? হ্যাঁ, এটাই ব্যবসা। আজকালকার দিনে চায়ের দোকান সব জায়গাতেই আছে। কিন্তু যদি একটু অন্যভাবে শুরু করতে পারেন তাহলে আপনি এগিয়ে যাবেন। বাকিরা থাকবে পেছনে।
রাস্তার কাছে অধিকাংশ চায়ের দোকানগুলোতে গুণগতমান মোটেও ভালো নয়, প্লাস্টিকের গ্লাসে চা খেতে দেওয়া হয়, যা শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর।
যদি আপনি চায়ের দোকানে ভালো মানের চা পাতা ব্যবহার করে চা তৈরি করেন, এবং বেশি পরিমাণ দুধ দিয়ে চা তৈরি করেন তাহলে আর পাঁচটা দোকানের থেকে আপনার দোকানের চা অনেক সুস্বাদু হবে। আপনার সুনাম বাড়বে। ব্যবসায় সফলতা পাবেন। এবং কাস্টমার কে চা দিতে হবে মাটির ভাঁড়ে। চা -এর পাশাপাশি কিছু মুখরোচক খাবার রাখতে পারেন। কয়েকদিনের মধ্যেই লক্ষ্য করবেন বাজারে অন্যান্য চায়ের দোকানগুলোর থেকে আপনার দোকানে লোকের সংখ্যা বেশি। ৫ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
বড় বড় শহর থেকে গ্রাম সব জায়গাতেই ফাস্টফুডের চাহিদা আকাশ ছোঁয়া। এই ব্যবসায় শহরে খুব প্রতিযোগিতা থাকলেও গ্রামের দিকে প্রতিযোগিতা অপেক্ষাকৃত কম। তাই অল্প পুঁজিতে শুরু করতে পারেন একটি ফাস্টফুডের দোকান।
প্রাথমিকভাবে চাইনিজ ও মোগলাই দিয়ে শুরু করতে পারেন। পরে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী বাকিগুলি শিখে নেবেন। দোকানের জন্য নিজের জায়গা না থাকলে ঘর ভাড়া নিতে পারেন অথবা কোনো ট্রলি কিংবা রিকশায় রাস্তার ধারে দোকান বসাতে পারে। ১৫- ২০ হাজার টাকা লাগিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
আপনার যদি কম্পিউটার জানা থাকে তাহলে সাইবার ক্যাফে ব্যবসার দিকে আপনি এগোতে পারেন। কলেজের এডমিশন থেকে শুরু করে চাকরির ফর্ম ফিলাপ, ইলেকট্রিক বিল জমা করা সবকিছুই এখন অনলাইনে। গ্রামের দিকে সবার ঘরে হাই স্পিড ইন্টারনেট ব্যবস্থা থাকে না, তাই গ্রামাঞ্চলে সাইবার ক্যাফে ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা।
কম্পিউটার, প্রিন্টার, ইন্টারনেট, ঘর ভাড়া সহ সব কিছু মিলিয়ে কমবেশি ৮০- ৯০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন এই সাইবার ক্যাফে ব্যবসা।
‘বিকল্প কর্মসংস্থান’ সিরিজ টি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, যদি এই ধরনের ব্যবসা সংক্রান্ত পোস্ট পেতে চান তাহলে আমাদের ফেসবুকে ফলো করুন।
This post was last modified on August 23, 2021 8:57 pm
উচ্চ মাধ্যমিক ২০২৪ -এর রেজাল্ট কবে প্রকাশ পাবে সেই নিয়ে জল্পনা চলছিল রাজ্যের শিক্ষা মহলে।…
WB Gram Panchayet Practice Set 2024: পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তর, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে…
তীব্র গরমের দাবদাহের মধ্য দিয়ে দিন কাটছে পশ্চিমবঙ্গবাসীর। সকাল থেকে গরমের প্রকোপ অসহ্যরকম। ইতিমধ্যেই এবছরের…
মাধ্যমিক রেজাল্ট ২০২৪: এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছিল ১২ ফেব্রুয়ারি তারিখে। প্রায় দীর্ঘ ২ মাস…
প্রতিদিনের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স 2024: জাতীয় এবং রাজ্য স্তরের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের চাকরিপ্রার্থীদের প্রস্তুতির…
WBP Constable Practice Set 2024: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে কনস্টেবল ও লেডি কনস্টেবল নিয়োগ ২০২৪ -এর…