আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন থেকে মহাকাশ গবেষণার প্রতি ভালোবাসা। অবশেষে স্বীকৃতি পেলেন নিমতার উজ্জ্বল অধিকারী। সম্প্রতি নাসার কাছে আবেদন করেন তিনি। সেই আবেদনে সাড়াও মেলে। নাসার পক্ষ থেকে গ্রহাণু নিয়ে দেওয়া বিশেষ প্রকল্পে অংশগ্রহণ করেন উজ্জ্বল। সেই গবেষণায় তিনটি গ্রহাণুর সন্ধান দিয়ে নাসার সিটিজেন সায়েন্টিস্টের স্বীকৃতি পেলেন মেদিনীপুরের ‘উজ্জ্বল’।
নিমতার অধিকারী পরিবারের ছেলে উজ্জ্বল অধিকারী। ছোট থেকেই ভালোবাসা ছিল মহাকাশ বিজ্ঞানের ওপর। মধ্যবিত্ত পরিবারে বড়ো হওয়া উজ্জ্বলের স্বপ্ন ছিল মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়ার। ছোট থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী ছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁর ঝুলিতে এসে গিয়েছে ভারতভূষণ সন্মান, ডক্টর এপিজে আবদুল কালাম পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় রত্ন পুরস্কার। শুধু তাই নয় ২০২১ সালে বিশ্বের কনিষ্ঠতম এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বিশ্বরেকর্ড ছিল উজ্জ্বলের। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হলেও সাহিত্যের প্রতিও তাঁর টান বর্তমান। ইতালির প্যানোরোমা আন্তর্জাতিক সাহিত্য সন্মেলনে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। এছাড়া ইন্ডিয়া প্রাইমের বিচারে সেরা একশো ভারতীয় লেখকদের তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। এবার NASA (ন্যাশনাল এরোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের) তরফ থেকে সিটিজেন সায়েন্টিস্টের ‘উজ্জ্বল’ স্বীকৃতি পেলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ টেট পরীক্ষার দিন পরিবহণ ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা নবান্নে
পেশায় ইঞ্জিনিয়ার উজ্জ্বল অধিকারী কর্মসূত্রে থাকতেন ব্যাঙ্গালোরে। একটি সংস্থার বিমানের নকশা নির্মাণের কাজে নিযুক্ত তিনি। প্রতি বছরের মতো বিজ্ঞান বিষয়ে মতামত প্রকাশ বা কাজ করার অভিজ্ঞতা জানানোর জন্য আবেদনের সুযোগ দেয় নাসা। সেখানেই আবেদন করেন তিনি। আবেদনে মেলে সাড়া। নাসার পক্ষ থেকে গ্রহাণু নিয়ে দেওয়া বিশেষ প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে তিনটি গ্রহাণুর সন্ধান এনে দেন উজ্জ্বল। এরপরেই তাঁকে সিটিজেন সায়েন্টিস্টের স্বীকৃতি দেওয়া হয় নাসার তরফে। স্বাভাবিকভাবেই ছেলের সাফল্যে খুশি তাঁর পরিবারের মানুষজন। উজ্জ্বলের কথায়, এই সন্মান এবছরে ভারতে একমাত্র পেয়েছেন তিনি। ফলে বলাইবাহুল্য পরিবার ও জেলার সাথে রাজ্যের নামও ‘উজ্জ্বল’ করলেন তিনি।