বাড়লো গরমের ছুটি, আবারো কি তাহলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ থাকবে রাজ্যের বিদ্যালয় গুলি? কি জ্বালাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর? পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রচন্ড তাপপ্রবাহের কারণে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সরকারি, সরকার পোষিত এবং সরকার অনুমোদিত সমস্ত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলি বন্ধ রয়েছে। রাজ্যের কাছে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থ যে অধিক পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ, তার প্রমাণ পাওয়া যায় প্রতিবছরেই। গরমের দাবদাহ না কমার কারণে এই বছরও বাড়ানো হলো গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময়সীমা।
পূর্ববর্তী ঘোষণা অনুসারে মে মাসের ১২ তারিখ খুলে দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের বিদ্যালয় গুলি। তবে তার আগেই গত আট তারিখে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তর ছুটির সময়সীমা আরো বাড়ানোর ঘোষণা করেছে। প্রচন্ড গরমে ইতিমধ্যেই নাজেহাল প্রাপ্তবয়স্ক মানুষজন। এমন অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয় যাওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। বেশিরভাগ বিদ্যালয়েই গরম প্রতিরোধের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। এর ফলে শরীর খারাপ হয়ে যেতে পারে ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের।
আরও পড়ুনঃ চালু হল সেমিস্টার সিস্টেম, পরীক্ষা কবে থেকে জানুন
এই কারণেই মে মাসের ৮ তারিখে শিক্ষা দপ্তরের তরফে গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময়সীমা গোটা মে মাস পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘোষণা অনুসারে, মে মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রাজ্যের বিদ্যালয় গুলি। এর পরের দিন অর্থাৎ জুন মাসের ১ তারিখে রবিবার থাকায় একেবারে জুন মাসের ২ তারিখ থেকে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিক পাশে সেরা ৫ টি স্কলারশিপ
শিক্ষকদের জন্য কী জানানো হলো?
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকারাও গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময়ে ছুটি নিতে পারেন। কিন্তু তারপরে অর্থাৎ বিদ্যালয় খুলে গেলে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করে ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পূর্ণ সিলেবাস শেষ করাতে হবে বলে সরকারের নির্দেশ। বিদ্যালয় খোলার কয়েক মাসের মধ্যেই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা রয়েছে। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে সিলেবাস সেই সবার বিষয়ে কোনো রকম সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়, সেই দিকটাও এবারে নিশ্চিত করল শিক্ষা দপ্তর। প্রয়োজনে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থাও চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।