আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। প্রতি বছরের মতো এবছরেও পরীক্ষা নিয়ে বাড়তি সতর্ক পর্ষদ। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নির্মাণ, পরীক্ষা পরিচালনা ও খাতা দেখা প্রতিটি ধাপ যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তার জন্য তৎপর রাজ্য সরকার। আগের বছরের চেয়ে এ বছর এগিয়ে এসেছে মাধ্যমিক। আর মাধ্যমিক শেষেই শুরু হবে উচ্চমাধ্যমিক। এই দুই পরীক্ষার মধ্যে ব্যবধান থাকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিনের। এদিকে, চলতি বছরের দুই বোর্ড পরীক্ষা নিয়ে শীঘ্রই নয়া সিদ্ধান্ত আনতে চলেছে পর্ষদ। এই সিদ্ধান্তের ফলে বাড়তি সুবিধা পাবেন ছাত্রছাত্রীরা।
সূত্রের খবর, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা দেখার ভার আলাদা আলাদা শিক্ষকদের দেওয়ার দাবি তুলেছেন শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, এমন অনেক শিক্ষক রয়েছেন যাঁরা বিশেষ কোনো কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উভয় পরীক্ষারই কোনো খাতা দেখার ভার পান না। এদিকে, অনেক শিক্ষককেই অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে দুই পরীক্ষার খাতা দেখা শেষ করতে হয়। শিক্ষকদের কথায়, এই অসম বন্টনের কারণে কার্যত সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দুই পরীক্ষাই ছাত্রছাত্রীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বের। তাই পরীক্ষার খাতাগুলি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা ততোধিক গুরুত্বপূর্ণ। এমতাবস্থায়, শিক্ষকদের দাবি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা যদি আলাদা আলাদা শিক্ষকদের দেওয়া হয়, তবে দুই পরীক্ষার মূল্যায়ন অনেক ভালো হবে।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক শুরুর আগেই নতুন বই হাতে পাবেন পড়ুয়ারা
রাজ্যের শিক্ষকেরা তাঁদের দাবি সমন্বিত একটি চিঠি ইতোমধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদকে জমা দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কী সিদ্ধান্ত আসে, তা এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। তবে সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য আশ্বাস, শিক্ষকদের এই দাবি সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তবে দুই পরীক্ষার খাতা আলাদাভাবে দেখার জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছেন কিনা তাও দেখতে হবে। পাশাপাশি, বোর্ড পরীক্ষার খাতা দেখার জন্য যে যোগ্যতামান প্রয়োজন তা শিক্ষকদের রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে। সবদিক বিবেচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নেবে পর্ষদ। সেক্ষেত্রে আলাদাভাবে খাতা দেখা হলে মূল্যায়নের প্রচুর ত্রুটি বিচ্যুতি কমবে বলেও ধারণা করা যাচ্ছে। যার কারণে উপকৃত হবেন পরীক্ষার্থীরা।