পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য দুর্দান্ত সুখবর আসতে চলেছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। বর্তমানে মূল্য বৃদ্ধির বাজারে এখনো পর্যন্ত ষষ্ঠ পে কমিশন অনুসারে বেতন পাচ্ছেন রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা। অপরদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের অষ্টম পে কমিশন গঠিত হয়ে গিয়েছে। আগামী বছরের প্রথম মাস থেকেই অষ্টম পে কমিশন অনুসারে বেতন পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীরা। অথচ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কর্মচারীরা কম মহার্ঘভতার পাশাপাশি পুরনো পে কমিশনের বেতন পাচ্ছেন। এই কারণে যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এই কারণেই সমস্ত দিক বিবেচনা করে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে দুর্দান্ত খবর প্রকাশিত হলো।
WB 7th Pay Commission
সাধারণত সরকারি দপ্তর গুলিতে বেতন কমিশন গঠনের মাধ্যমে পারিপার্শ্বিক সময়ের মূল্য বৃদ্ধি এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে বেতনভোগী কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বাম আমল থেকে চালু থাকা বেতন কমিশনের নিয়ম অনুসারে এইবারেও সপ্তম কমিশন গঠন হতে চলেছে বলে খবর সরকারি সুত্রের তরফ থেকে।
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণের জন্য ১৯৭১ সালে প্রথমবারের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে পে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এরপর ১৯৮১ সালে দ্বিতীয় বেতন কমিশন এবং ১৯৯০ সালে তৃতীয় পে কমিশন গঠন করা হয়। এরপরে একে একে ১৯৯৮ সালে তৃতীয়, ২০০৯ সালে চতুর্থ পে কমিশন গঠিত হয়েছিল। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ২০২০ সাল থেকে কার্যকর হওয়া ষষ্ঠ বেতন কমিশনের নির্ধারিত বেতন সীমা অনুসারে মাসিক বেতন পেয়ে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন নিয়ে সুখবর! সেপ্টেম্বর মাস থেকে দ্বিগুণ টাকা বেতন?
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে যে হারে মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে তাতে পুরনো বেতন ক্রমে গোটা মাছের খরচ চালাতে পারছেন না সরকারি কর্মচারীরা। এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্যান্য রাজ্য কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের তুলনায় যথেষ্ট কম পরিমাণে মহার্ঘ ভাতা প্রদান করা হয়। বর্তমানে মাত্র ১৮% মহার্ঘ ভাতা পেয়ে থাকেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কর্মচারী এবং পেনশন ভোগী ব্যক্তিরা। তবে নতুন অর্থবর্ষে এই মহার্ঘ ভাতার পরিমাণ আরো ৪% বেড়ে ১৮% হতে চলেছে।
যদিও এই নূন্যতম বৃদ্ধির ফলে বিশেষ কোনো রকম সুবিধাই হবে না রাজ্যের কর্মচারীদের। তাই সরকারের কর্মচারীরা এখনো পর্যন্ত স্বস্তি পাচ্ছেন না। তবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কিছুটা পরিমাণ চিন্তা মুক্ত করার উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই বছরের মধ্যেই সপ্তম পে কমিশন গঠনের একটি আভাস পাওয়া যাচ্ছে। যদিও এই কার্যক্রম এই বছরের মধ্যে কতটা বাস্তবায়িত হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের স্কুলে গরমের ছুটি কবে থেকে পড়বে? ঘোষণা করল পর্ষদ