এই ব্যবসা শুরু করে দিনে ৩ হাজার আয় করুন, জানুন সব খুঁটিনাটি

'বিকল্প কর্মসংস্থান' -এর নতুন প্রতিবেদন নিয়ে হাজির হলো ExamBangla.com , বিগত কয়েক মাসে প্রকাশিত 'বিকল্প কর্মসংস্থান' -এর প্রতিবেদন গুলি প্রকাশিত হওয়ার পর আমরা বহু মানুষের সাড়া পেয়েছি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য…

Published By: ExamBangla.com | Published On:

‘বিকল্প কর্মসংস্থান’ -এর নতুন প্রতিবেদন নিয়ে হাজির হলো ExamBangla.com , বিগত কয়েক মাসে প্রকাশিত ‘বিকল্প কর্মসংস্থান’ -এর প্রতিবেদন গুলি প্রকাশিত হওয়ার পর আমরা বহু মানুষের সাড়া পেয়েছি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য চাকরি ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প রোজগারের পথ খুঁজে দেওয়া। রাজ্যের বহু যুবক- যুবতীদের আগ্রহে আমরা নিয়ে এলাম ‘বিকল্প কর্মসংস্থান’ -এর নতুন একটি প্রতিবেদন। আজকের এই প্রতিবেদনে আপনারা জানতে পারবেন একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া। যদিও এই ব্যবসাটিকে নতুন বলা চলে না, তবুও এই দ্রব্যের চাহিদা আকাশছোঁয়া। বাজারে নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী এলেও আপনার ব্যবসা চলবে রাজার হালে। কারন এখান থেকে উৎপাদিত দ্রব্য ৩ বছরের শিশু থেকে ৯০ বছর বয়সি বৃদ্ধ গ্রহণ করে। তাই বাজারের চাহিদা অপরিসীম।

মুড়ি তৈরির ব্যবসা

আজ আপনারা জানতে পারবেন মুড়ি তৈরির ব্যবসা সম্পর্কে। মুড়ি তৈরির ব্যবসা করেও খুব সহজে স্বাবলম্বী হওয়া যায়। আমাদের দেশে ব্যবসা করার মতো এখনও অনেক পথ আছে কিন্তু যারা অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা খুঁজছেন তাদের জন্য মুড়ির ব্যবসা একটি অন্যতম পথ। মানুষের কাছে ভাতের পাশাপাশি মুড়ি মুখরোচক খাবার হিসেবে খুব জনপ্রিয়। আমাদের দেশে বিশেষ করে বাংলায় ১২ মাসেই মুড়ি চলে, আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় মুড়ি থাকেই। পূজো পার্বণ, বিয়ে বাড়ি সমস্ত রকম অনুষ্ঠানে মুড়ির হাকার চারিদিকে, তাই এই চাহিদা কে কাজে লাগিয়ে আপনিও শুরু করতে পারেন মুড়ি তৈরির ব্যবসা। এটা এমন একটা ব্যবসা যেখানে অল্প পুঁজি ব্যয় করে অনেক টাকা আয় করা যায়। এটা একটি লাভজনক ব্যবসা। যেকোনো উদ্যোক্তা এই ব্যবসাটি শুরু করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। তাই আপনাদের কাছে মুড়ি ব্যবসার খুঁটিনাটি কিছু তথ্য নিয়ে আজকের এই বিষয়ে আলোচনা।

মুড়ি তৈরির মেশিন

প্রথমত কেন আপনি মুড়ি তৈরির ব্যবসা শুরু করবেন? উত্তর হলো এই ব্যবসার জন্য আপনার কাছে সামান্য টাকার পুঁজি থাকলেও চলবে। খুব একটা বেশি পারিশ্রমিক লাগবে তেমনটাও নয়। ঘন্টায় ১৫০ থেকে ২০০ কেজি মুড়ি ভাজার একটি মেশিন কিনতে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাগবে। তবে এর থেকেও বেশি দামের মেশিন পাওয়া যায় যা ঘন্টায় ১৫০০ কেজির মতো মুড়ি ভাজার ক্ষমতা রাখে। তবে শুরুতে ২০০ কেজি/ ঘন্টা মুড়ি ভাজার মেশিন আপনার জন্য শ্রেয়। কারন আপনি নতুন শুরু করছেন। ছোট্ট করে এই ব্যবসা শুরু করার পূর্বে আপনাকে কিছু পরিকল্পনা করে রাখতে হবে যেমন মেশিন রাখার জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া দরকার, কারণ এটি একটি খাদ্যদ্রব্য। পাশাপাশি ব্যবসা সংক্রান্ত তথ্য যেমন এলাকায় মার্কেট কোথায় আছে, পণ্যের চাহিদা কিরকম, কিভাবে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করা যাবে, খুচরা নাকি পাইকারি ইত্যাদি জেনে নিতে হবে আপনাকে।

আরও পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের চাষ করে লাভবান হন

প্রয়োজনীয় কাঁচামালঃ যেমন মুড়ি তৈরিতে লাগে চাল, লবণ এছাড়াও মুড়ির প্যাকেট ও কোম্পানির সিল ইত্যাদি বাজার থেকে সংগ্রহ করে নিতে হবে। মুড়ি তৈরির মেশিন চালাতে গিয়ে প্রয়োজনীয় উপকরণের ব্যবস্থা করে রাখতে হয় আগে থাকতে, যেমন মোটর ও বিদ্যুৎ সংযোগ, মুড়ি ভাজার জন্য গ্যাস। কাঠের আগুন ও কেরোসিনের আগুনেও চালানো যায়। এই মুড়ি তৈরির মেশিন গরম করে প্রাথমিকভাবে তিন ঘন্টা চালানো যায়। তিন ঘণ্টায় ৬০০ কেজি মুড়ি ভাজা যাবে যেখানে ৪ কেজির মতো গ্যাস খরচ হবে। পাইকারি হিসেবে প্রতি কেজিতে কমবেশি ৫ টাকা লাভ করতে পারবেন। ব্যবসা বড় হলে প্রতি কেজিতে এর থেকেও বেশি লভ্যাংশ থাকবে। সুতরাং ৬০০ কেজি মুড়ি বিক্রিতে ৩০০০ টাকা লাভ করা যাবে।

মুড়ি তৈরির পদ্ধতিঃ যদি আপনি ১০০ কেজি চালের মুড়ি তৈরির পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে প্রথমে ১০০ কেজি চাল লবন মেখে জল দিয়ে সামান্য ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে কিছুক্ষণ। যাতে লবণ চালের ভিতরে ঢুকতে পারে। তারপর চালকে রোদে দিয়ে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। তবে অনেক ক্ষেত্রে কিছু কিছু উন্নত মানের মেশিন পাওয়া যায় যেখানে চাল শুকানোর প্রয়োজন হয় না মেশিনে দিলেই চাল শুকিয়ে একসাথে ভাজা হয়ে বেরিয়ে আসে। কিন্তু এক্ষেত্রে মুড়ির ভালো মানের নাও হতে পারে। তাই মেশিনে দেওয়ার আগে চালকে শুকিয়ে নেওয়াই ভালো। সেক্ষেত্রে মুড়ির গুণমান খুব ভালো হয়।

মুড়ি

মেশিন কোথায় পাবেন? এই মুড়ি তৈরির মেশিন বিভিন্ন জেলার যেকোনো বড় শহর এলাকায় একটু খোঁজখবর করলেই পেয়ে যাবেন। নিজের জেলায় মেশিন না পেলে বাঁকুড়া, বর্ধমান ও কলকাতায় সুলভ মূল্যে মেশিন পাবেন। পাশাপাশি অনলাইনে মেশিন কিনতে চাইলে Indiamart.com -এ প্রচুর মেশিন সাপ্লায়ারের হদিস পাবেন। তাদের সাথে যোগাযোগ করে মেশিন কিনতে পারবেন।

প্রয়োজনীয় লাইসেন্স: ছোটখাটো এই রকম ব্যবসার অনুমোদনের জন্য একটা ট্রেড লাইসেন্স করে নিতে হবে যা আপনার এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস কিংবা মিউনিসিপালিটি অফিসে আবেদন করতে হবে। পরবর্তীকালে ব্যবসার উন্নতি হলে জিএসটি করতে পারেন। তবে ব্যবসার শুরুতে জিএসটি লাগবে না।

আরও পড়ুনঃ
পপকর্নের ব্যবসা করে মাসে ৩০ হাজার আয় করুন
আগরবাতি ধূপের ব্যবসা করে মাসিক ৫০ হাজার আয়

পরিশেষে বলা যায় যে অল্প মূলধন বিনিয়োগে ভালো লাভবান হবার ক্ষেত্রে মুড়ির ব্যবসা এক অন্যতম। যেকোনো ব্যবসায় উন্নতির জন্য পরিশ্রমী ও উদ্যম হওয়া জরুরী এবং ধাপে ধাপে এগোনো উচিত। যেকোনো ব্যবসা শুরুর আগেই ওই ব্যবসার সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি ভাল করে খোঁজখবর করে চিন্তাভাবনা করে নেওয়া ভালো। সবকিছু পরিকল্পনা ঠিক থাকলে খুব কম সময়ে সফল হওয়া সম্ভব।

ExamBangla.Com is a West Bengal’s leading Job News Website, Which provide all the Government Job updates, Exam dates, Syllabus, Admit card, Current affairs and Compititive exam related study materials for free of cost. All the post write in local language i.e; bengali, so the all candidates can read carefully.

© Exambangla  | All rights reserved

Sitemap | Career